বুধবার দুপুরে সিএমএম আদালতে পল্টন ও রমনা থানার নয়টি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানি হয়।প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী এ শুনানিতে তার আইনজীবী আসাদুজ্জামান নয়টি মামলার এজাহার ধরে বিশ্লেষণ করেন।তিনি আদালতকে বলেন, “এসব মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।
ঘটনা ঘটার স্থান এবং সময় প্রত্যেকটা মামলায় একই ধরনের। মনগড়াভাবে তাকে আসামি করা হয়েছে।”“সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ থাকতে হবে, এজাহারে বলতে হবে কোথায়, কখন, কীভাবে কী করেছে”, শুনানিতে বলেন মি. আসাদুজ্জামান।এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এক আসামির জামিন আদেশের রেফারেন্স টেনে তিনি জামিনের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, “আইনানুযায়ী বয়স ও অসুস্থ বিবেচনায় তার জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শুনানি দ্রুত শেষ করতে তাগাদা দেন। তখন আদালত বলেন, “শুনানি করতে দেন।”এ সময় আদালতের এজলাসে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ভিড় ছিলো।এর আগে মঙ্গলবার মির্জা ফখরুলকে সিএমএম কোর্টে হাজির করা হলে এই নয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আদেশ দেয় আদালত।গত ২৯ শে অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তারের পর দিন পল্টন থানার একটি মামলায় ঢাকার সিএমএম মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালত এবং হাইকোর্টে তিন দফায় জামিন আবেদন খারিজ হয়।সূত্র বিবিসি